
শাইনপুকুরের বিপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ জয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করলো তারা।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় গুলশান। এই জয়ে ১১ ম্যাচে ৭ জয় ও একটি পরিত্যক্ত ম্যাচের পয়েন্ট নিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫, নিশ্চিত হয় সুপার লিগের টিকিট।
গত ম্যাচে শাইনপুকুরের শেষ দুই ব্যাটার রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদিন সাব্বিরের ‘ইচ্ছাকৃত’ আউটের অভিযোগ ওঠে। বল ফ্লাইট মিস করেও ক্রিজে ফিরতে চেষ্টার অভাব, সন্দেহ আরও ঘনীভূত করে। ফলে ৫ রানের সে জয় নিয়ে ওঠে নানা প্রশ্ন, ঘ্রাণ মেলে স্পট ফিক্সিংয়েরও। ঘটনাটি এখন তদন্তাধীন বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটে।
আজিজুলের ব্যাটে জবাব তবে আজ মাঠে ছিল পুরোপুরি অন্য চিত্র। টস হেরে ব্যাট করতে নামা প্রাইম ব্যাংক ব্যাটাররা গুলশানের বোলিং আক্রমণে ধরাশায়ী। মেহেদী হাসান, আসাদুজ্জামান পায়েল, নাইম ইসলাম, নিহাদউজ্জামান ও ইলিয়াস সানির সাঁড়াশি আক্রমণে ২০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
জবাবে, অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ১০৬ বলে ১০৫ রানের সেঞ্চুরি গুলশানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। ওপেনিং জুটিতে জাওয়াদ আবরার (৩৩) ও তামিম মিলে তোলে ৭১ রান, যা গড়ে দেয় জয়ের ভিত।
এই হারে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেলো প্রাইম ব্যাংকের। জিতলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াতো ১২, এবং শেষ ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের হারেই সুপার লিগে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু গুলশানের এই জয়ে সব হিসেব গুলিয়ে গেলো, টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়লো ইরফান শুক্কুরদের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক: ৪৭.৩ ওভারে ২০৩/১০ (সাব্বির হোসেন ২২, নাইম শেখ ৩৬, শাহাদাত হোসেন দিপু ০, শামীম পাটোয়ারী ৭, জাকির হাসান ২২, ইরফান শুক্কুর ৪৩, সাজ্জাদুল হক রিপন ৫১*; মেহেদী হাসান ৩/৪৩, আসাদুজ্জামান পায়েল ২/৪২, নাইম ইসলাম ২/৩৭, নিহাদউজ্জামান ২/২৯, ইলিয়াস সানি ১/১৫)।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ৩৭.১ ওভারে ২০৪/৫ (জাওয়াদ আবরার ৩৩, আজিজুল হাকিম তামিম ১০৫, খালিদ হাসান ৩৮; নাইম আহমেদ ২/৪৫, নাজমুল ১/৫১. শামীম পাটোয়ারী ১/৩০)।